Monday, June 2, 2014
সম্প্রতি কিছু দালালচক্র....
সম্প্রতি কিছু দালালচক্র নিজেদের হীনস্বার্থ হাসিলের জন্য কোটি কোটি তাওহিদী জনতার মহান রাহবার হেফাজত অমীর ও তাঁর পুত্র মাওঃআনাস মাদানী সহ হেফাজত নেতৃবৃন্দের বিরূদ্ধে ডাহা মিথ্যা,বানোয়াট,কল্পকাহিনি প্রচার করে আসছে| কিসের আশায় তাঁরা এগুলো করতেছে.তবে আমরা এতটুকু জানি এর দ্বারা হেফাজতের ঈমানী আন্দোলনের ফসল (পূণ্য) আল্লাহর কাছে পেয়ে যাবে| যা আল্লাহর অঙ্গিকার তিনি কখনো খেলাফ করেন না| হেফাজতের কোন ক্ষতি হবেনা| বরং তাদের কৃতকর্মের কারনে আখিরাত তথা পরজীবন অন্ধকারের অতল গহবরেনিজের স্থান নিচ্ছে| মহা নবীর(সঃ)সম্মান মহান আল্লাহর পর সর্বোপরি সবার উর্দ্ধে, যাহা ঐশী ও জগত স্বিকৃত| মহা নবী (সঃ)' ও তাঁর প্রেমিকদের বিরূদ্ধে গিয়ে কেও পার পেয়ে যাবে একথা ভাবলে চরম করবে|ইতিহাসের দিকে সুস্থ মস্তিস্কে একবার দৃষ্টি দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি সেই কুলাঙ্গারপাপিষ্ট নরাধমদের| সকলে সুবুদ্ধি ও সুমতি কামনা করি|
দৃষ্টী আকর্ষন
প্রিয় দ্বীনি ভাই ও বোনেরা, আপনাদেরকে অনুরোধ করবো, এতো হতাশা হওয়ার কিছু নেই। আল্লাহর রাস্তায় যেদিন থেকে নেমেছেন সেদিন থেকেই আপনাদের মনে রাখা উচিত আপনাদেরকে আল্লাহ পরীক্ষা করবেন ভীতি, ফিতনা, ক্ষুধা, দরিদ্রতা দিয়ে। এটা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আপনাদেরকে অনেক আগেই সতর্ক করে দিয়েছেন। তবে, আল্লাহ (সুব:) এটা-ও আপনাদেরকে গ্যারান্টি দিয়েছেন এই যুদ্ধে বিজয় ইসলামপন্থীদের-ই হবে। এই ওয়াদা আল্লাহ বার বার উল্লেখ করেছেন আর মুমিনদের স্বরণ করিয়ে দিয়েছেন। তাই বলছি, একজন আব্দুল কাদের মোল্লা বা একজন সাইদীর জীবনের জন্য আপনাদের এই আন্দোলন নয়, আপনাদের আন্দোলন আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা করার জন্য। ওহুদ, হুদায়বিয়া আপনার-আমার দৃষ্টিতে মুসলমানদের পরাজয়, কিন্তু আল্লাহ বলছেন বিরাট বিজয় (ফাতাহান মুবিন). আব্দুল কাদের মোল্লা বাংলার ইতিহাসে সবচেয়ে একজন বড় সফল ব্যক্তি। আল্লাহ বলছেন, "যালিকাল ফাউজুল কাবীর". তার স্থানে যদি আল্লাহ আমাকে কবুল করতেন তাহলে আজ আমার ভাগ্য খুলে যেতো। একবার একটু ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করে দেখুন তো, এই পৃথিবীর-বিশ্ব-মহাজগতের একমাত্র রব আল্লাহ, তাকে ভালবাসার জন্য তার বিলিয়ন বিলিয়ন সৃষ্টির মধ্যে, আমার মতো একজন নগন্য বান্দা জীবন দিবে, এর চেয়ে বড় অর্জন আর কি হতে পারে। সুবহান-আল্লাহ, মৃত্যু তো একদিন হবেই, আর সেই মৃত্যুটা আকাশ-জমিনের একমাত্র রবের জন্য, এতো বড় সম্মান আল্লাহ সবাইকে দেন না। আল্লাহ আজ্জাওয়াজাল বলেছেন, তিনি শুহাদাকে নির্বাচন করেন, যাকে তাকে শহীদ হওয়ার এই সুযোগ দেন না। আল্লাহর কাছে চাই, "ওহ আল্লাহ, তোমার জন্য মরার সুযোগ করে দাও, যেনো হাশরের ময়দানে রক্তমাখা শরীর নিয়ে তোমার সামনে বলতে পারি, আল্লাহ তোমার জন্য মরেছি এই রক্ত তার প্রমান"। আমীন।
এই জন্য প্রিয় দ্বীনি ভাইয়েরা, শুধু আপনাদের বুকে আগুন জ্বলছে তা নয়, কষ্টের আগুনে কলিজা পুড়ছে বাংলার লক্ষ লক্ষ মুমিনদের। ধর্য্য ধরুন আর তাহাজ্জুত পরে আল্লাহর দরবারে মনের সকল কষ্টের কথা বলুন। মনে রাখবেন, আমাদের রব যদি আমাদের পাশে থাকে তাহলে পৃথিবীর আর কিচ্ছু আমাদের লাগবে না। অন্য মুমিন ভাইদেরকে কথাগুলো জানান।
এই জন্য প্রিয় দ্বীনি ভাইয়েরা, শুধু আপনাদের বুকে আগুন জ্বলছে তা নয়, কষ্টের আগুনে কলিজা পুড়ছে বাংলার লক্ষ লক্ষ মুমিনদের। ধর্য্য ধরুন আর তাহাজ্জুত পরে আল্লাহর দরবারে মনের সকল কষ্টের কথা বলুন। মনে রাখবেন, আমাদের রব যদি আমাদের পাশে থাকে তাহলে পৃথিবীর আর কিচ্ছু আমাদের লাগবে না। অন্য মুমিন ভাইদেরকে কথাগুলো জানান।
আওয়ামীলীগের "মদিনা সনদ"
১. মদিনা সনদ দু-পক্ষের মধ্যে চুক্তি। রাছুল (স:) নিজেদের পক্ষের নাম উল্লেখ করেছেন "মুসলিম পক্ষ" হিসেবে। আর আওয়ামীলীগের মদিনা সনদে, প্রথম দফায় পরিচয় হিসেবে "আওয়ামী মুসলিম লীগ" থেকে মুসলিম বাদ দিয়ে শুধু "আওয়ামীলীগ" করা হয়েছে, পরের দফায় সংবিধান পরিবর্তন করে পুরো জাতির "মুসলিম" পরিচয় বাদ দিয়ে "সেক্যুলার" পরিচয় উল্লেখ করা হয়েছে।
২. মদিনা সনদে রাছুল (স:) উল্লেখ করেছেন, দু-পক্ষের-ই আল্লাহর উপর অবিচল বিশ্বাস থাকতে হবে, এবং উভয় পক্ষ আল্লাহকে সাক্ষী রেখে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করবে। আওয়ামীলীগের মদিনা সনদে আল্লাহর উপর ঈমান ও আস্থা রাখা নিষিদ্ধ। এবং যে দল তা রাখবে তাদেরকে নিষিদ্ধ করা হবে।
৩. মদিনা সনদে রাছুল (স:) উল্লেখ করেছেন যখন কোনো বিষয়ে দু-পক্ষের মধ্যে আইনগত কোনো সমাধান হচ্ছেনা তখন দু-পক্ষই আল্লাহ (আল-কোরআন) ও রাছুলের দেয়া (সুন্নাহ) বিধান মেনে নেবে। আওয়ামীলীগের মদিনা সনদ অনুযায়ী আইন বা সংবিধানে আল্লাহ বা রাছুলের কোনো ছায়া থাকতে পারবে না, ধর্ম হবে ব্যক্তিগত ব্যাপার আর আইন, সমাজ, অর্থিনীতি চলবে তাদের গড়া আইন দিয়ে।
৪. রাছুল (স:) উল্লেখ করেছেন, অন্য পক্ষ কোনভাবেই কোনো মুসলমানদের জান ও মালের ক্ষতি করতে পারবে না। রাছুল (স:) অন্য হাদিসে উল্লেখ করেছেন, একজন মুসলমানের রক্ত কাবা ঘরের চেয়ে-ও বেশি পবিত্র। আর আওয়ামীলীগের মদিনা সনদ অনুযায়ী মুসলমানের রক্তের মূল্য ইদুর বিড়ালের চেয়ে-ও কম। তাই, ৬ই মে, ২৮শে ফেব্রুয়ারী মুসলমানদের রক্ত দিয়ে স্রোত বইয়ে দেয়া তাদের মদিনা সনদে ১০০% হালাল।
৫. রাছুলুল্লাহর মদিনা সনদে বলা হয়েছে, কেউ কারোর ধর্মীয় বিধান পালনে বাঁধা দিতে পারবে না। আওয়ামীলীগের মদিনা সনদ অনুযায়ী মুসলমানরা আল্লাহর দেয়া উত্তরাধিকার আইন (সুরা নিসাআ, আয়াত ১১) পালন করতে পারবে না, বরং আওয়ামীলীগের দেয়া উত্তরাধিকার আইন পালন করতে হবে, আর তা না করলে আইনগত শাস্তি প্রদান করা হবে। আওয়ামীলীগের মদিনা সনদে, মুসলিম মেয়েরা হিজাব বা নিকাব পরে স্কুল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে হবে অপদস্ত-নিষিদ্ধ, আর মুসলিম ছেলেদের দাড়ি-পাঞ্জাবি থাকলে বলা হবে "রাজাকার" বা "সন্ত্রাসী".
২. মদিনা সনদে রাছুল (স:) উল্লেখ করেছেন, দু-পক্ষের-ই আল্লাহর উপর অবিচল বিশ্বাস থাকতে হবে, এবং উভয় পক্ষ আল্লাহকে সাক্ষী রেখে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করবে। আওয়ামীলীগের মদিনা সনদে আল্লাহর উপর ঈমান ও আস্থা রাখা নিষিদ্ধ। এবং যে দল তা রাখবে তাদেরকে নিষিদ্ধ করা হবে।
৩. মদিনা সনদে রাছুল (স:) উল্লেখ করেছেন যখন কোনো বিষয়ে দু-পক্ষের মধ্যে আইনগত কোনো সমাধান হচ্ছেনা তখন দু-পক্ষই আল্লাহ (আল-কোরআন) ও রাছুলের দেয়া (সুন্নাহ) বিধান মেনে নেবে। আওয়ামীলীগের মদিনা সনদ অনুযায়ী আইন বা সংবিধানে আল্লাহ বা রাছুলের কোনো ছায়া থাকতে পারবে না, ধর্ম হবে ব্যক্তিগত ব্যাপার আর আইন, সমাজ, অর্থিনীতি চলবে তাদের গড়া আইন দিয়ে।
৪. রাছুল (স:) উল্লেখ করেছেন, অন্য পক্ষ কোনভাবেই কোনো মুসলমানদের জান ও মালের ক্ষতি করতে পারবে না। রাছুল (স:) অন্য হাদিসে উল্লেখ করেছেন, একজন মুসলমানের রক্ত কাবা ঘরের চেয়ে-ও বেশি পবিত্র। আর আওয়ামীলীগের মদিনা সনদ অনুযায়ী মুসলমানের রক্তের মূল্য ইদুর বিড়ালের চেয়ে-ও কম। তাই, ৬ই মে, ২৮শে ফেব্রুয়ারী মুসলমানদের রক্ত দিয়ে স্রোত বইয়ে দেয়া তাদের মদিনা সনদে ১০০% হালাল।
৫. রাছুলুল্লাহর মদিনা সনদে বলা হয়েছে, কেউ কারোর ধর্মীয় বিধান পালনে বাঁধা দিতে পারবে না। আওয়ামীলীগের মদিনা সনদ অনুযায়ী মুসলমানরা আল্লাহর দেয়া উত্তরাধিকার আইন (সুরা নিসাআ, আয়াত ১১) পালন করতে পারবে না, বরং আওয়ামীলীগের দেয়া উত্তরাধিকার আইন পালন করতে হবে, আর তা না করলে আইনগত শাস্তি প্রদান করা হবে। আওয়ামীলীগের মদিনা সনদে, মুসলিম মেয়েরা হিজাব বা নিকাব পরে স্কুল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে হবে অপদস্ত-নিষিদ্ধ, আর মুসলিম ছেলেদের দাড়ি-পাঞ্জাবি থাকলে বলা হবে "রাজাকার" বা "সন্ত্রাসী".
Wednesday, June 26, 2013
২০শে রমজান পর্যন্ত ইফতার মাহাফিল এবং সেপ্টেম্বরের ২য় সপ্তাহ থেকে সারাদেশের আলেম ওলামাদের নিয়ে জাতীয় সম্মেলন
গতকাল চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসা মিলনায়তনে শীর্ষ নেতাদের এক জরুরি সভায় ১৩ দফা দাবি তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়। এর মধ্যে ১৩ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ব্যাপক গণজাগরণ সৃষ্টি ও দলের কর্যক্রম তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে ২০ রমজান পর্যন্ত শাখা পর্যায়ে ইফতার মাহফিল এবং সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে সারাদেশে আলেম-ওলামাকে নিয়ে জাতীয় সম্মেলনসহ প্রতিটি জেলা-উপজেলা, গ্রাম-গঞ্জে আলোচনা সভা, সেমিনার ও দোয়া মাহফিলের বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া যেসব মহানগর ও জেলা-উপজেলায় কমিটি গঠিত হয়নি, সেখানে কমিটি গঠন করার যথযথ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
আমরা আল্লাহ ও তার রাসুল (সা.)-এর সম্মান রক্ষার্থে খানকাহ্ ও কোরআন-হাদিসের দরগাহ ছেড়ে রাজপথে নেমেছি। কোনো হুমকি, নির্যাতন, মামলা, হয়রানি ও ষড়যন্ত্র আমাদের ঈমান রক্ষার আন্দোলন থেকে বিরত রাখতে পারবে না। দেশের যে স্থানে যে কোনো সময়ে ইসলামবিদ্বেষী শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে এদেশের নবীপ্রেমিক আলেম-ওলামা ও তাওহিদি জনতা জীবনবাজি রেখে তাদের দাঁতভাঙা জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে। বর্তমান ইসলামবিদ্বেষী অপশক্তির চেয়ে বৃহত্ শক্তি ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শক্তিকে ওলামায়ে কেরাম উপমহাদেশ থেকে বিতাড়িত করেছে, তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে লড়াইয়েও আমরা বিজয়ী হবো। চারদিকে হাজারো অপপ্রচার, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বক্তব্য, নেতাকর্মীদের নামে নানান অপবাদ সত্ত্বেও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সব নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ রয়েছেন।
আমরা আল্লাহ ও তার রাসুল (সা.)-এর সম্মান রক্ষার্থে খানকাহ্ ও কোরআন-হাদিসের দরগাহ ছেড়ে রাজপথে নেমেছি। কোনো হুমকি, নির্যাতন, মামলা, হয়রানি ও ষড়যন্ত্র আমাদের ঈমান রক্ষার আন্দোলন থেকে বিরত রাখতে পারবে না। দেশের যে স্থানে যে কোনো সময়ে ইসলামবিদ্বেষী শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে এদেশের নবীপ্রেমিক আলেম-ওলামা ও তাওহিদি জনতা জীবনবাজি রেখে তাদের দাঁতভাঙা জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে। বর্তমান ইসলামবিদ্বেষী অপশক্তির চেয়ে বৃহত্ শক্তি ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শক্তিকে ওলামায়ে কেরাম উপমহাদেশ থেকে বিতাড়িত করেছে, তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে লড়াইয়েও আমরা বিজয়ী হবো। চারদিকে হাজারো অপপ্রচার, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বক্তব্য, নেতাকর্মীদের নামে নানান অপবাদ সত্ত্বেও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সব নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ রয়েছেন।
Subscribe to:
Posts (Atom)
ঘোষনাঃ ৫ই মে' এর যে কোন দৃশ্য আপনার মোবাইল ফোন বা ক্যামেরায় ধারন করা কোন ছবি বা ভিডিও যদি থাকে তা নিজ দ্বায়িত্বে অনলাইন এ্যাক্টিভিটিস নেটওয়ার্কের কাছে প্রেরন করুন অথবা আমাদের ইমেইল করুন-
hifazatheislam@gmail.com
আপনার পাঠানো যে কোন তথ্য করতে পারে সত্যকে প্রস্ফুটিত।
hifazatheislam@gmail.com
আপনার পাঠানো যে কোন তথ্য করতে পারে সত্যকে প্রস্ফুটিত।