Tuesday, May 7, 2013

প্রতক্ষদর্শীরা বলছেন শহীদের পরিমান ৩ হাজারের কম নয়

প্রতক্ষদর্শী নাম নাজমুল ইসলাম। এ বছর তিনি সিলেটের আঙ্গুরা মাদ্রাসার মিশকাত জামাতে পড়ছেন। ৫ই মে'র কাল রাত্রের আক্রমনের সময় তিনি শাপলা চত্বরের সমাবেশ স্থলে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন হঠাৎ মাইকিং শুনেন দশ মিনিটের মধ্যে অবস্থান স্থল ত্যাগ করার জন্য। কিন্ত তারা অনড় ছিলেন। এ সময় স্টেজের মাইক হাতে নেন জুনাইদ আল হাবিব সাহেব। পরক্ষণেই একসাথে হামলা করে কয়েকহাজার বিজিবি, র‍্যাব, পুলিশ ও সরকারের পোষা গুন্ডা বাহিনী। প্রথমেই তারা জলকামান ও ব্রাশফায়ার করে স্টেজের দিকে। সাথে সাথে মাইক বন্ধ হয়ে যায়। শুরু হয় এলোপাথাড়ি গুলি। পিচঢালা পথে রক্ত এবং গরম পানিতে তার টাখনো পর্যন্ত ডুবে যায়। পালাতে গিয়ে স্টেজের দিকে দৌঁড় দেন এবং কয়েকজন মিলে সেখান থেকে পড়ে থাকা দশটি লাশ নিয়ে মতিঝিল জামিউল উলুম মাদ্রাসা-মসজিদের দ্বিতীয় তলায় আশ্রয় নেন। তিনিসহ সহস্রাধিক মানুষ সেখানে অবরুদ্ধ ছিলেন। সকাল নয়টার দিকে তারা কয়েকজন গায়ের পাঞ্জাবি খোলে লুকিয়ে সেখান থেকে বের হয়ে দ্রুত পলায়ন করেন। তিনি কাঁপাকন্ঠে বারবার বলছিলেনঃ ভাই! আমি নিজ চোখে দেখেছি কয়েক হাজার মানুষ শাহাদাত বরণ করেছেন। এর পরিমান অন্তত ৩ হাজারের কম হবেনা। লাশগুলো গুম করা হয়েছে।

নাম আব্দুল্লাহ, পিরোজপুর থেকে। আমারা আমাদের মাদ্রাসা থেকে ২৩ জন গিয়েছিলাম ৫ই মে'র সমাবেশে, আমরা ঐ রাত্রে স্পটে ছিলাম। রাত্রে সাড়ে বারটা বা তার পরে একসময় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা হয়েছিল। আমরা সবাই অনড় ছিলাম বৃষ্টি যতই হোক আমরা এ স্থান থেকে এক চুলও নড়বোনা। অবশেষে বৃষ্টি অল্প অল্প পড়ে শেষ হয়ে যায়। কিন্তু এর কিছুক্ষন পরে, অনেকে ঘুমিয়ে পড়ছেন আবার কেহ নামাজ পড়ছে আবার জিকির করছে, হটাৎ শুনি বাহির থেকে মাইকে ১০ মিনিটের মধ্য ওই স্থান ছেড়ে দিতে নির্দেশ দিচ্ছে। কিন্তু আমরা অনড় ছিলাম, ঐ জায়গা ছাড়তে চাইনি। ১০ মিনিট না যেতেই পুলিশ এলো পাতাড়ি গুলি ছড়োতে থাকে এবং খুব গরম পানি মারতে থাকে। এ সময়ে সামেন পিছনে যে কত লাশ পড়ে ছিল তা আমি কল্পনা করতে পারছিনা। মনে আসলেই আমার চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনা। কি বলবো ভাই হাজার হাজার লাশ পড়েছিল রাস্তায়। পরের দিন আমরা ২৩ জন থেকে ২০ ফিরে আসলেও ৩ জন ফিরে আসেনি। তারা নিখোজ, তাদের লাশও পাইনি আমরা। আমাদের হারানো ঐ তিন সহপাটিকে আমরা স্মরন করছি। আমরা একসাথে ঘুমিয়েছি, এক সাথে পড়েছি, এক সাথে খেলেছি...

ওয়াহিদ হাবিব চাকুন্দিয়া মাদ্রাসা, খুলনা থেকে- আমরাও বেশ কয়েক জন সহপাটি এবং আমাদের পার্শ্ববর্তি মাদ্রাসা থেকে একত্রে গিয়েছিলাম ৫ই মে'র অবোরোধ কর্মসুচিতে অংশ নিতে। আমি ঐ রাতে মতিঝিলের শাপলা চত্ত্বরেই অবস্থান করতে ছিলাম। আমি ঐ রাত্রের ভয়াবহ ঘটনার কথা ভুলতে পারছিনা তাই বিবেকের তাড়নায় এই লেখা আপনাদের কাছে পাঠালাম। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি ঐ রাতে শহীদের সংখ্যা হাজার হাজার হবে। আমার পায়েও ঐ রাতে গুলি লেগেছিল। আমার সহপাঠিরা আমাকে নিয়ে এসেছেন।

মোঃ জুয়েল, তিনি পঞ্চগড় জেলার একটি মাদরাসার ছাত্র। ৫ মে তিনি তার মাদরাসার হুজুর (শিক্ষক) আলমগীরসহ ৬ জন হেফাজতের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার জন্য বিকালে ঢাকা মহানগরীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে এসে পৌঁছান। তখন থেকে তিনি মঞ্চের সামনেই অবস্থান করছিলেন। তিনি রাতে শাপলা চত্বরের পশ্চিম দিক থেকে গুলির শব্দ শুনতে পান। গুলির শব্দ শুনে শাপলা চত্বরের পশ্চিমে অবস্থানরত হেফাজত কর্মীরা চত্বরের সেই দিক থেকে সরে আসতে থাকে। তিনিও ভিড়ের চাপে মঞ্চের সামনে থেকে শাপলা চত্বরের পূর্ব পাশে সরে যান এবং টয়েনবি সার্কুলার রোডের বামপাশে মধুমিতা সিনেমা হলের আগে মতিঝিল দারুল উলুম জামে মসজিদে গিয়ে আশ্রয় নেন। গুলির শব্দে অনেক হেফাজত কর্মী শাপলা চত্বর ছেড়ে আশপাশের বিভিন্ন গলিতে ঢুকতে থাকেন। তখন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মঞ্চ থেকে মাইকে ঘোষণা দেয়া হয়, “আপনারা গুলি বন্ধ করেন। আপনারা কেন আমাদের নিরীহ কর্মীদের ওপর হামলা করছেন।” একপর্যায়ে গুলির শব্দ বন্ধ হয়ে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তখন তিনি মতিঝিল বড় মসজিদে এশার নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে তিনি মসজিদ থেকে বের হয়ে আসেন। তিনি দেখেন রিকশা, ভ্যান ইত্যাদি যানে করে অনেক আহত লোকজনকে হাসপাতালের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ সময় তিনি ৭টি লাশও নিয়ে যেতে দেখেন। এরপর রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টায় তিনি আবারও মঞ্চের কাছে যান। পুলিশ সদস্যরা যেন মঞ্চের কাছে না আসতে পারে সেজন্য হেফাজত কর্মীরা রাস্তায় ব্যারিকেড সৃষ্টি করে এবং কাঠের স্তূপ তৈরি করে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় মতিঝিল এলাকার বিদ্যুতের সংযোগ পুলিশ বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল।

রাত সোয়া দুইটার দিকে তিনি চারদিক থেকে গুলির শব্দ শুনতে পান। তিনি দেখেন হাজার হাজার পুলিশ সদস্য গুলি করতে করতে শাপলা চত্বরের পশ্চিম দিক ও উত্তর দিক থেকে মঞ্চের দিকে আসছে। এ সময় শাপলা চত্বরে অবস্থানরত হেফাজতের কর্মীরা রাস্তার বিভিন্ন গলি পথ দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি নিজেও শাপলা চত্বরের পূর্ব পাশের একটি গলিতে ঢুকে পড়েন। সেখানে কয়েকটি পানের দোকান ছিল। তিনি সেখানে একটি পানের দোকানে আশ্রয় নেন। সেখানে তার সঙ্গে প্রায় ৭০ জন হেফাজত কর্মী ছিলেন। এই সময় চারদিকে বৃষ্টির মতো গুলি হচ্ছিল। তিনি সেখানে নিজেকে আর নিরাপদ মনে করেননি। তাই তিনি চেয়েছিলেন রাস্তা অতিক্রম করে রাস্তার ওপাশে একটি ঘরে ঢুকে যেতে। কিন্তু পানের দোকান থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তার হাতে ও পায়ে গুলি লাগে। তিনি রাস্তার পাশেই একটি ড্রেনে পড়ে যান। কিছুক্ষণ পর গুলির আওয়াজ একটু কমলে তিনি ড্রেন থেকে উঠে রাস্তা পার হন। রাস্তা পার হওয়ার সময় তিনি দেখেন ২০-২৫ জনের নিথর দেহ রাস্তায় পড়ে রয়েছে। তিনি রাস্তা পার হয়ে একটা ঘরে ঢুকে পড়েন। সেখানে শ’খানেক হেফাজত কর্মী ছিলেন। এদের বেশির ভাগই ছিলেন গুলিবিদ্ধ। রাত আনুমানিক ৪টায় আশপাশে বিভিন্ন জায়গা থেকে সবাইকে বের হয়ে আসার জন্য মাইক দিয়ে ঘোষণা দেয়া হয়। তখন তারা সেখান থেকে বের হয়ে আসেন। এরপর কয়েকজন লোক তাকে জাতীয় অর্থপেডিক ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে নিয়ে আসেন। গুলিতে আহত মিরপুর রূপনগর মাদরাসার ছাত্র মো. মাজেদুল ইসলাম অধিকারকে জানান, ৬ মে মধ্যরাতে তিনি শাপলা চত্বরের শাপলা ভাস্কর্যের বাউন্ডারির ভেতরে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত আড়াইটায় হঠাত্ মুহুর্মুহু গুলির শব্দ ও টিয়ারশেলের গন্ধে তার ঘুম ভেঙে যায়। তিনি দেখেন তার চারপাশের লোকজন দৌড়ে পালাচ্ছে। তিনিও বাউন্ডারির ভেতর থেকে বের হয়ে দৌড় দেন। এরপর তিনি টিয়ার গ্যাসে
আক্রান্ত হয়ে সোনালী ব্যাংক মতিঝিল শাখার রেলিং টপকে ভেতরে প্রবেশ করলে গুলিবিদ্ধ ৭-৮ জনের নিথর দেহ সেখানে পড়ে থাকতে দেখেন। সেখানে কয়েকশ’ লোকও আশ্রয় নেয়। পরে পুলিশ সদস্যরা সেখানেও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এরপর সেখান থেকে ১০-১২ জনের সঙ্গে মিলে দিলকুশা রোডের একটি ভবনের সিঁড়িতে তিনি আশ্রয় নেন। তিনি দেখেন, পুলিশ সদস্যরা গাড়ি নিয়ে দক্ষিণ দিকে চলে যাচ্ছে। এমন সময় একজন পুলিশ সদস্য তাদের দেখে ফেলে এবং সেই পুলিশ সদস্য অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের সেখানে ডেকে নিয়ে আসে। পুলিশ সদস্যরা এসে তাদের গুলি করতে চায়। তারা গুলি না করার জন্য পুলিশ সদস্যদের অনুরোধ করেন। তখন পুলিশ সদস্যরা তাদের গুলি না করে লাঠিপেটা করে ও তাদের ধরে লাঠি ও রাইফেলের বাঁট দিয়ে মাথায় আঘাত করে এবং এতে তার মাথা থেকে রক্তক্ষরণ হতে থাকে।

এরপর তাদের ছেড়ে পুলিশ সদস্যরা সিঁড়িতে পড়ে থাকা অন্যদের ওপর চড়াও হয়। এই সুযোগে তিনি সেখান থেকে পালিয়ে রাস্তার পাশে একটি ডাস্টবিনের দিকে যেতে থাকেন। যাওয়ার পথে তিনি ১০-১২ জনকে রাস্তায় নিথরভাবে পড়ে থাকতে দেখেন এবং ডাস্টবিনের আড়ালে আশ্রয় নেন।

এরপর দুইজন পুলিশ সদস্য এসে তাকে আবার ধরে লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকে। এই সময় দূর থেকে এক পুলিশ সদস্যের ছোড়া গুলি তার ডান উরুতে বিদ্ধ হয়। তখন তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ পর তার মুখে পানির ছিটা পড়লে তিনি জ্ঞান ফিরে দেখেন, জিন্স প্যান্ট ও শার্ট পরা এক ব্যক্তি তার মুখে পানি ছিটাচ্ছে। লোকটি তাকে বলে, ‘তুই এখনও মরিসনি।’ এই বলে সেই ব্যক্তিটি তাকে আবারও পেটাতে শুরু করে। তখন তিনি সেই ব্যক্তির পায়ে ধরে তাকে আর না মারার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু তার কথা না শুনে তাকে আর পেটানো হয়। একপর্যায়ে একজন পুলিশ সদস্য তাকে ধরে দাঁড় করায় এবং দৌড় দিতে বলে। কিন্তু তিনি দৌড়াতে পারছিলেন না। তিনি হেঁটে হেঁটে যাচ্ছিলেন। পুলিশ সদস্যরা তাকে পেছন থেকে পেটাতে থাকে এবং দৌড় দিতে বলে। তিনি অনেক কষ্ট করে দৌড় দিয়ে পাশের একটি গলিতে ঢুকে পড়েন। সেখানে তিনি কয়েকজন হেফাজতকর্মীকে দেখতে পান। তিনি তাদের কাছে তাকে হাসপাতালে নেয়ার জন্য অনুরোধ করলে তারা তাকে ভোর আনুমানিক ৪টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। তিনি এখনও চিকিত্সাধীন।

শিক্ষক রহমত উল্লাহ (৩৫) জানান, ৬ মে রাত আনুমানিক ২টা ১৫ মিনিটে শাপলা চত্বরে থাকা কিছু হেফাজতের নেতাকর্মীরা বসে জিকির করছিলেন। এই সময় হঠাত্ দৈনিক বাংলার মোড় থেকে কয়েক হাজার পুলিশ, র্যাব এবং বিজিবি সদস্য মঞ্চের দিকে গুলি ছুড়তে ছুড়তে এগিয়ে আসতে থাকে। এতে হেফাজতের কর্মীরা ভয়ে মঞ্চের দিকে ছুটে আসতে থাকেন। যৌথবাহিনীর সদস্যরা মঞ্চের আশপাশে থাকা হেফাজতকর্মীদের ওপর গুলি ছুড়তে থাকে। তিনি বলেন, যৌথবাহিনীর সদস্যরা যখন অভিযান শুরু করে তখন সে এলাকায় বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। কিন্তু শাপলা চত্বরের আশপাশে কয়েকটি ভবনে বাতি জ্বলছিল এবং রাস্তায় দেয়া বিভিন্ন ব্যারিকেডে হেফাজতকর্মীদের ধরানো আগুন জ্বলছিল। আবছা আলোয় তিনি লক্ষ্য করেন, তার আশপাশে প্রায় ২০০-৩০০ হেফাজতকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আছেন। তার ধারণা, সেখানে যারা পড়ে ছিলেন তারা সবাই মারা গেছেন। তিনি বলেন, শাপলা চত্বরের অভিযানে যৌথবাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি জিন্স প্যান্ট ও টি-শার্ট পরিহিত অনেক অস্ত্রধারী লোকও অংশ নেয়। সেই লোকগুলো মাটিতে পড়ে থাকা নিথর দেহগুলোতে আঘাত করে ও গালাগাল করতে থাকে। তিনি বলেন, হয়তো সেসব সাদা পোশাকধারী লোকজন লাশগুলো সরিয়ে ফেলেছে।


আপনারা যারা ৫ই মে রাত্রে মতিঝিলে অবস্থান করতে ছিলেন, আপনারা আপনাদের দেখা বর্ননা দিয়ে আমাদের কাছে লেখা পাঠাতে পারেন অথবা কোন ছবি বা ভিডিও ফুটেজ থাকলে তা পাঠাতে পারেন এ ইমেইলে- hifazatheislam@gmail.com
যদি নাম ঠিকানা প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক হন তাহলে তা উল্লেখ করবেন।

উল্লেখ্য আমরা ছিলাম অনলাইন ব্রডকাষ্টিংএ তাই আমরা সবসময় মাঠে থাকতে পারিনি।

No comments:

Post a Comment

ঘোষনাঃ ৫ই মে' এর যে কোন দৃশ্য আপনার মোবাইল ফোন বা ক্যামেরায় ধারন করা কোন ছবি বা ভিডিও যদি থাকে তা নিজ দ্বায়িত্বে অনলাইন এ্যাক্টিভিটিস নেটওয়ার্কের কাছে প্রেরন করুন অথবা আমাদের ইমেইল করুন-
hifazatheislam@gmail.com
আপনার পাঠানো যে কোন তথ্য করতে পারে সত্যকে প্রস্ফুটিত।


 
হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা আন্দোলন নিয়ে সরকার জনগণের সাথে প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছে। ধোকা দেয়ার চেষ্টা করছে। সরকারের মনে রাখা উচিত, ধোকাবাজি করে পার পাওয়া যাবে না
---
মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক
বাংলাদেশের নাস্তিকরা ফেরাউন নমরুদের চেয়েও জঘন্য
---
বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ, মুফাসসীরে কোরআন মাওলানা নুরুল ইসলাম ওলিপুরী