
সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন হেফাজতে ইসলামের মহানগর আহ্বায়ক মাওলানা নুর হোসাইন কাসেমী। তিনি তার বক্তৃতায় বলেন, হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা ঈমানি দাবি। সব মুসলমানের উচিত এ দাবির প্রতি সমর্থন দেয়া। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের এদেশের সরকারের উচিত অবিলম্বে এসব দাবি মেনে নেয়া। তিনি সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন, আমাদের ঈমানি দাবি মেনে নিন। অন্যথায় তৌহিদি জনতা আপনাদের আর ক্ষমতায় দেখতে চাইবে না।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে মাওলানা মঈনুদ্দিন রুহী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনি আমাদের ৫ মে’র আগে শায়েস্তার কথা বলেছেন। কিন্তু আমি বলছি, ওই দিন আপনি কিভাবে পালাবেন সেই পথ ঠিক করে নিন। কর্মীদের প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ৫ মে হবে আমাদের চূড়ান্ত লড়াই। সেই লড়াইয়ে নবী প্রেমিকদের জিততে হবে। কাফনের কাপড় পরে শাহাদাতের তামান্না নিয়ে কর্মসূচি সফল করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে জুনায়েদ আল হাবিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনি আমাদের সামাল দেয়ার কথা বলেছেন। আপনি ঘুঘু দেখেছেন ফাঁদ দেখেননি, বাঘের হুংকার দেখেননি। ৫ মে তা দেখতে পাবেন। ১৩ দফা বাস্তবায়নে প্রয়োজনে ১৩০০ বার সংবিধান সংশোধনের দাবি জানান তিনি। মুফতি তৈয়ব বলেন, ভাঁওতাবাজি করে সরকার আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। এবার হেফাজতের কর্মসূচির হিটে আপনার গদি তছনছ হয়ে যাবে। আহমাদ শফীর নির্দেশেই এদেশ পরিচালিত হবে। তিনি অবিলম্বে মাহমুদুর রহমানের মুক্তি ও পত্রিকাটির প্রেস খুলে দেয়ার দাবি জানান। অন্যথায় সারাদেশে কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী বলেন, ১৩ দফা জনগণের মুক্তির সনদ। তা বাস্তবায়ন করলে দেশ-জনগণ স্বাধীনতা হেফাজত থাকবে। মাওলানা আবদুল কুদ্দুস বলেন, হেফাজতকে নিয়ে টানাটানি করলে আপনাদের সবকিছু শেষ হয়ে যাবে। তওবা করেন, অন্যথায় তাসলিমার পরিণতি বরণ করতে হবে। মাওলানা আবদুল হামিদ মধুপুরী বলেন, সাভারের হতাহতের ঘটনার জন্য শেখ হাসিনাকে দায়দায়িত্ব নিতে হবে।
No comments:
Post a Comment