
৫ মে ঢাকা অবরোধের মাধ্যমে ১৩ দফা দাবি আদায় করা হবেঃ মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মুখে মদিনা সনদের কথা বলছেন, আর কাজেকর্মে নাস্তিক-মুরতাদদের সনদ বাস্তবায়ন করছেন। এ দেশ নাস্তিক-মুরতাদদের দেশ নয়, এদেশ আলেম-ওলামাদের দেশ। এদেশে ক্ষমতায় থাকতে হলে হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবি মেনেই ক্ষমতায় থাকতে হবে। ১৩ দফা দাবির আন্দোলন কোনো রাজনৈতিক দলের নয় এ আন্দোলন বাংলাদেশের তৌহিদি জনতার ঈমান-আকিদার আন্দোলন। তিনি অবিলম্বে ১৩ দফা দাবি মেনে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, অন্যথায় ৫ মে ঢাকা অবরোধের মাধ্যমে দাবি আদায়ের ঘোষণা দেন।

১৩ দফায় নারী ও শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছেঃ মুফতি ইজহারুল ইসলাম
মুফতি ইজহারুল ইসলাম তার বকৃতায় বলেন, সরকার ক্ষমতায় যাওয়ার আগে কোরআন-সুন্নাহবিরোধী কোনো কাজ করা হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু ক্ষমতায় গিয়ে সংবিধান থেকে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও পূর্ণ বিশ্বাস তুলে দিয়ে ঈমান হরণের ব্যবস্থা করেছে। সংবিধান থেকে বিসমিল্লাহ তুলে দিয়ে নাস্তিক মুরতাদদের উত্সাহিত করেছে। নতুন শিক্ষাব্যবস্থার নামে ধর্মীয় শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, নাস্তিক ব্লগার রাজীবকে শহীদ ঘোষণা করায় আপনি ইসলামের কলঙ্ক। মাওলানা শাহ্ আহমদ শফীর এক আজানের ধ্বনিতে নাস্তিকদের সব আশা শেষ হয়ে গেছে। আপনার সময় শেষ হয়ে আসছে। বাংলাদেশে ক্ষমতায় থাকতে হলে ১৩ দফা মেনে থাকতে হবে। আলেম-ওলামারা মাথার পাগড়ি খুলে কোমরে বাঁধলে এ সরকারের পালাবার পথ থাকবে না। সরকার আমাদের মসজিদ-মাদরাসা-মক্তব থেকে রাজপথে নামিয়ে এনেছে। ১৩ দফা আদায়ের মধ্য দিয়েই আলেমরা ঘরে ফিরবে।
১৩ দফায় নারী ও শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। হেফাজতে ইসলাম নারী মুক্তি ও নিরাপত্তার জন্যই কাজ করছে। আর যারা নিজেদের নারীবাদী বলে গলা ফাটাচ্ছেন তারা মূলত নারীভোগী। তাদের হাতে নারীরা নিরাপদ নয়। নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর দেখানো পথেই তা নিশ্চিত করা সম্ভব। অন্যভাবে কোনো দিনই সম্ভব হবে না।
১৩ দফাকে সংবিধান বিরোধী বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করবেননাঃ মাওলানা জুনাইদ আল হাবিব
মাওলানা জুনাইদ আল হাবিব বলেন, কোনো ব্যর্থ সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারে না। এই সরকার সর্বক্ষেত্রে শুধু ব্যর্থই নয়, নাস্তিক-মুরতাদদের পক্ষাবলম্বন করে কোটি কোটি মানুষের মনে আঘাত করেছে। একশ্রেণীর নাস্তিকরা ১৩ দফাকে সংবিধান বিরোধী বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে, ফলে আমরা বলতে চাই এই ১৩ দফার কোনোটিই সংবিধান বিরোধী নয়, প্রয়োজনে ১৫শ’ বার সংবিধান সংশোধন করতে হলেও হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা বাস্তবায়ন করতে হবে। অন্যথায় ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হবে।
তিনি হাসানুল হক ইনু ও রাশেদ খান মেননের কঠোর সমালোচনা করেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, হেফাজতে ইসলামকে খাটো করে দেখবেন না, লেজ গোটানোর কথা বলে আপনি কোটি কোটি মুসল্লির মনে আঘাত করেছেন। রাজশাহীর ময়দানে দেখে যান, হেফাজতে ইসলামের সমর্থন ও শক্তি কত। আর কোনো বাড়াবাড়ি করলে তৌহিদি জনতা আপনাকে ঘর থেকে বের হতে দেবে না। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পাগল আখ্যায়িত করে পাবনায় নিয়ে চিকিত্সা করানোর পরামর্শ দেন।
এছাড়াও বক্তারা আরও বলেন, সাভার ট্র্যাজেডি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভবন মালিক রানা যুবলীগের কেউ না। কিন্তু একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা স্থানীয় সংসদ সদস্য ও রানার একটি অন্তরঙ্গ ছবি প্রকাশ করে প্রমাণ করেছে প্রধানমন্ত্রী মিথ্যাবাদী। তিনি অবলীলায় মিথ্যা কথা বলছেন। ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে কোনো মিথ্যাবাদী প্রধানমন্ত্রীকে বরদাশত করা হবে না। সরকারের গাফিলতিতে সঠিকভাবে উদ্ধার কাজ এগোয়নি, তাই প্রাণহানির ঘটনা বেড়েছে। তারা সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন, না পারলে হেফাজতের হাতে দায়িত্ব দিন আমরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধারকাজ সম্পন্ন করতে পারব ইনশাআল্লাহ। তারা হতাহত পরিবারের সদস্যদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি করেন।
এ দেশে ইসলাম ছাড়া আর সবকিছুরই নিরাপত্তা দেয়া হয়েছে। সংবিধানে কাদিয়ানীদের নিরাপত্তার কথা বলা হয়েছে, হিন্দু-খ্রিস্টানদের নিরাপত্তা আছে। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের নিরাপত্তা নাই। সংবিধানে আল্লাহর নামটুকুও বাদ দেয়া হয়েছে। বর্তমান সংবিধানে নাস্তিকদের সম্মানিত করা হয়েছে। দেশের শিক্ষানীতি ও ইসলাম বিমুখ করে নাস্তিক বানানোর ষড়যন্ত্র হয়েছে। এসব রুখতেই ১৩ দফার বিকল্প নেই। এ দফা মানা না হলে সরকারকে লেজ গুটিয়ে দেশ ছেড়ে পালাতে হবে।
No comments:
Post a Comment