Tuesday, May 7, 2013

বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটের ফুটপাতে বন্ধ থাকা ইসলামী বই ও কোরআন শরীফের দোকানে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা দেবাশিষের নেতৃত্বে

৫ই মে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটের ফুটপাতে বন্ধ থাকা ইসলামী বই ও কোরআন শরীফের দোকানে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা দেবাশিষের নেতৃত্বে থাকা একদল আওয়ামী হানাদার বাহীনি। আর হলুদ মিডিয়া গুলি আওয়ামী হানাদার দের বাচাতে হেফাজতে ইসলাম করেছে বলে অপপ্রচার চালিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সত্যতা দেখুন এখানে

গত রোববার বাদ আসর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেট দিয়ে বেরিয়ে আসছিল মুসল্লিরা। এসময় পূর্ব থেকেই সেখানে অবস্থান নেয়া যুবলীগ সন্ত্রাসীরা মুসল্লিদের মধ্যে যাদেরকে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী কিংবা আলেম মনে হয়েছে, তাদেরকেই লাঠিসোঁটা দিয়ে বেধরক পেটাতে থাকে। পুলিশ এসময় সন্ত্রাসীদের পাশে নীরব দাঁড়িয়ে থাকে। জীবন বাঁচাতে মরিয়া মুসল্লিরা এ অবস্থায় আর দক্ষিণ গেট মারাননি।

ঠিক তখনই ঘটে চরম অঘটন। যুবলীগ সন্ত্রাসীরা দক্ষিণ গেটের ফুটপাতে বন্ধ থাকা ইসলামী বই ও কোরআন শরীফের দোকানে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া তারা ১৫-২০টি জুতার দোকানেও তারা একইভাবে আগুন দেয়। সংঘর্ষ পরিস্থিতির কারণে রোববার বন্ধ ছিলো ফুটপাতের এসব দোকান। মোড়ানো ছিলো পলিথিন দিয়ে। আগুনের ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে গোটা এলাকা। প্যান্ট-গেঞ্জির দোকান ছাড়াও এসময় পুড়ে যায় কোরআন শরীফসহ বিভিন্ন ধর্মীয় পুস্তকের দোকান। এসময় সেখানে বেশ কয়েকজন সাংবাদিক এবং সেই দোকানগুলোর দু’একজন মালিকও উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু অস্ত্র হাতে দাড়িয়ে থাকা সন্ত্রাসী এবং পুলিশের ভয়ে কেউ প্রতিবাদের সাহস পায়নি।

আসলে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির আজ্ঞাবহ এদেশি স্বার্থবাদী কিছু মিডিয়া এ ঘটনার নায়ক যুবলীগ সন্ত্রাসীদের বাঁচাতে মরিয়। এদিকে গতকাল বিএনপি’র সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে বলা হয় যে, বায়তুল মোকাররম মসজিদে অবস্থিত বই এর দোকানে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা দেবাশীষের নেতৃত্বে লুটপাট এবং পবিত্র কোরান শরীফসহ ধর্মীয় গ্রন্থসমূহে অগ্নিসংযোগ করা হয়। যা বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়ার খবরে দেবাশীষের ছবিসহ প্রচার করা হয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বাস্তব প্রমাণ সত্ত্বেও উক্ত ঘটনা হেফাজতে ইসলাম করেছে বলে অপপ্রচার চালিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
আর এরপরই সাম্রাজ্যবাদী শক্তির আজ্ঞাবহ এদেশি স্বার্থবাদী কিছু মিডিয়া এ ঘটনার নায়ক যুবলীগ সন্ত্রাসীদের বাঁচাতে মাঠে নেমে পড়ে। ইসলামের সাথে যুক্ত কোন বিষয়ে যারা সর্বদাই নিরাসক্ত এখন ঢালাওভাবে হেফাজতের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে নাস্তিকদের রক্ষা করার চেষ্টায় লিপ্ত সেই মিডিয়াগুলো। কিন্তু তারা এসব সংবাদে একটি প্রমাণও উপস্থাপন করছে না। পত্রিকা এবং টেলিভিশনে এ ঘটনার ফুটেজ দেখে অপরাধীদের বের করারও কোন চেষ্টা দেখা যাচ্ছে না সংশ্লিষ্টদের। অথচ বেশ কয়েকটি টিভি চ্যানেলে পল্টন এলাকায় জিন্সের প্যান্ট ও গেঞ্জী পরিহিত এবং হেলমেট মাথায় দেয়া লম্বা শারিরীক গঠনের কয়েক যুবককে হাতে পেট্রোলের বোতল নিয়ে বইয়ের দোকানগুলোতে আগুন দেয়ার ফুটেজ প্রচার করা হয়েছে।
অপরদিকে সরকারও হেফাজতের ঘাড়ে এ ঘটনার দায় চাপানোর জন্য পুরো মতিঝিল, পল্টন এবং বিজয়নগরের পোড়া সামগ্রী এবং আবর্জনা পরিষ্কার করে ফেললেও গতকাল বিকেল পর্যন্ত আগুনে পোড়া কুরআনের অবশিষ্টাংশ রেখে দেয়। আবার বিভিন্ন টিভি মিডিয়াকে আমন্ত্রণ করে এনে সংবাদ তৈরি করতে থাকে। সেখানে এমনসব লোকের মতামত নিতে থাকে যারা ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিল না। এর মাধ্যমে ঐসব মিডিয়া আলেমদের বিরুদ্ধে জনগণকে খেপিয়ে তোলার অপচেষ্টা করে যাচ্ছে।

এই ম্যাপটি দেখুন, তাহলেই সহজে বুজতে পারবেন কার ইসলামিক বইয়ের দোকানে আগুন দিয়েছে আর কারাই বা কোরান পুড়িয়েছেঃ
(১ নং ম্যাপ একটি বাশের কেল্লা থেকে এবং ২ ন ম্যাপ google earth থেকে নেওয়া)


আমারদেশ অনলাইন রিপোর্টঃ

৬ মে রাত আনুমানিক দেড়টা থেকে ২টা। মতিঝিল এলাকায় হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের ওপর চলছিল আইনশৃঙ্খলা ক্ষাকারী বাহিনীর বিক্ষিপ্ত অ্যাকশন। প্রাণভয়ে ছোটাছুটি করছিলেন নিরীহ আলেম ও ধর্মপ্রাণ মানুষ। ঠিক সে সময় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটের কর্নারে আওয়ামী লীগের শত শত কর্মী জড়ো হয়ে হেফাজতবিরোধী স্লোগান দিচ্ছিল। একপর্যায়ে তাদের হাতে থাকা পেট্রল ও মশালের মতো লম্বা লাঠির মাথায় আগুনের কুণ্ডলী দিয়ে বায়তুল মোকাররম মার্কেটের ফুটপাতের দোকানগুলোয় আগুন লাগানো শুরু করে। মার্কেটের দক্ষিণ কর্নার থেকে শুরু করে কয়েক মিনিটের মধ্যেই পল্টনের সিপিবির অফিস পর্যন্ত বই ও অন্যান্য ছোট দোকানগুলোয় আগুন লাগিয়ে উত্সব করতে থাকে। এমনই বর্ণনা দেন ওই স্থানে থাকা হেফাজত-সমর্থক এক প্রত্যক্ষদর্শী।

রুহুল আমীন নামের ৪০ বছর বয়সী ওই হেফাজত-সমর্থক জানান, মতিঝিলে হেফাজতের সমাবেশে র্যাব, পুলিশ ও বিজিবির অ্যাকশনের খবর পেয়ে সেখানে থাকা তার এক ছোট ভাইকে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। মোবাইলে যোগাযোগ করে তিনি তাকে সাউথইস্ট ব্যাংকের কাছে আসতে বলে সেখানে অপেক্ষা করছিলেন। হঠাত্ সেখানে পুলিশি অ্যাকশন শুরু হয়। দৌড়ে তিনি একটি গলিতে ঢুকে আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। পুলিশ ও র্যাবের মুহুর্মুহু গুলির শব্দে তার প্রাণ যায় যায় অবস্থা। কিছুক্ষণ পর অ্যাকশন শেষ হলে সেখান থেকে বেরিয়ে দেখেন অসংখ্য হেফাজতকর্মীর নিথর দেহ পড়ে আছে। ওই অবস্থা থেকে দ্রুত তিনি গলির মধ্য থেকে বের হয়ে শিল্প ব্যাংকের পাশ দিয়ে স্টেডিয়ামের দিকে চলে যাওয়া চেষ্টা করেন। কিন্তু সেখানেও শত শত পুলিশের ধাওয়া খেয়ে তিনি পল্টন ময়দানের প্রাচীর টপকে ভেতরে ঢুকে যান। ১০-১৫ মিনিট পর পুলিশ সরে যাওয়ায় নিরাপদ মনে করে সেখান থেকে বেরিয়ে কিছু দূর যাওয়ার পরই তিন-চারজন পুলিশের কবলে পড়েন তিনি। অনিশ্চয়তার মধ্যেও প্রাণ বাঁচাতে পুলিশ সদস্যদের কাছে করুণার সুরে তিনি বলেন, তার ছোট ভাইকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, কোনো সাহায্য করতে পারবেন কি না। পুলিশ তাকে ছোট ভাইয়ের খোঁজ বাদ দিয়ে দ্রুত এই এলাকা থেকে চলে যেতে বলে। কোন দিকে যাব, এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশ তাকে জানায়, বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটের দিকে পুলিশ নেই, ওই দিকে চলে যেতে। পুলিশের কথামতো তিনি সেদিকে যান। কিছু দূর যাওয়ার পর দেখতে পান, মসজিদের দক্ষিণ গেটের কর্নারে কয়েকশ আওয়ামী লীগের কর্মী অবস্থান নিয়ে জয়বাংলা স্লোগান দিচ্ছে। সেখান থেকেই ফুটপাতের দোকানগুলোয় আগুন দেয়া শুরু হয়। তাদের রোষানলে পড়ার ভয়ে ওই আওয়ামী কর্মীদের জটলার মধ্যেই হাঁটতে হাঁটতে সিপিবির অফিস মোড়ে চলে আসেন তিনি। পল্টন মোড়ের দিকে কোনো পুলিশ না দেখে তিনি দ্রুত ওই এলাকা দিয়ে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে সক্ষম হন।

আমার দেশকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে রুহুল আমীন আরও জানান, ওই রাতের কথা মনে হলেই অনেকটা বাকরুদ্ধ হয়ে যান তিনি। একপর্যায় বলেন, ঘটনার পর থেকে বেশ কিছুদিন স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারিনি। ঈমানি দাবি আদায়ে অবস্থানরত হেফাজতকর্মীদের ওপর সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারদলীয় ক্যাডারদের এ ধরনের বর্বর হামলা কল্পনাও করা যায় না। তিনি বলেন, ৬ মে রাতের ঘটনা নিজ চোখে কিছুটা দেখার পর সরকার ও মিডিয়ার অপপ্রচার দেখে আরও অবাক হই। কারণ, যে বইয়ের দোকান, কোরআন শরিফ ও অন্য জিনিসপত্র সরকারদলীয় কাড্যাররাই আগুন দিয়ে পুড়িয়ে উল্লাস করল, পরে সেই আগুনের দায় মজলুম হেফাজতকর্মীদের ওপরই চাপানো হয়েছে। এর চেয়ে জুলুম ও মিথ্যাচার আর কী হতে পারে? এসব অপপ্রচার দেখেই বিবেকের দায়বদ্ধতা থেকে মুক্তি পেতে সঠিক ঘটনা পত্রিকায় তুলে ধরতেই তিনি এই স্বেচ্ছায় এই সাক্ষাত্কার দেন বলেও উল্লেখ করেন।

ইনকিলাব রিপোর্টঃ
বায়তুল মোকাররমের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মাঝে জীবনহানির ভয়
বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেটের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অনেকের মাঝে ভর করেছে জীবনহানির ভয়। প্রত্যক্ষদর্শী অনেকেই কুরআন পোড়ানোর মতো জঘন্য কীর্তিতে যুক্ত দুষ্কৃতিকারীদেরকে চিনতে পারলেও এ ব্যাপারে মুখ খুলছেন না। জীবনের ভয়ে কেউই নিজের পরিচয় প্রকাশ তো দূরের কথা সাংবাদিক দেখলেই এড়িয়ে চলছেন। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা এ ঘটনায় কেউই হেফাজতে ইসলামকে দায়ী করেননি। এটাকে তারা সুযোগসন্ধানী দুষ্কৃতিকারীদের জঘন্য কাজ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তারা বলছেন, যে আলেম ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা কুরআন ও নবী (সা.) এর সম্মান রক্ষার্থে জীবন দিতে ঢাকা এসেছিলেন তারা এ কাজ করেছেন এটা পাগলেও বিশ্বাস করবে না। বরং হেফাজতে ইসলামকে ঘায়েল করতেই এক ধরনের ইসলামবিদ্বেষী মিডিয়াকে দিয়ে এ বিভ্রান্তি তৈরি করা হচ্ছে।

গতকাল সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলতে চাইলে অনেকেই সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে এড়িয়ে চলে যান। কেউবা ২/১টি কথা বললেও তাদের চোখে মুখে ছিল অজানা আতঙ্ক। অনেকে বলেই ফেললেন যে, আমরা দুষ্কৃতিকারীদের চিনলেও তাদের পরিচয় প্রকাশ করতে পারবো না। তাহলে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর আমাদের গুম বা নিখোঁজ করে দেয়া হবে। ওয়াদা করিয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা বলেন, শার্ট-প্যান্ট পরা অগ্নিসংযোগকারীরা গ্যালনে করে পেট্রোল নিয়ে দক্ষিণ দিক থেকে এসেছিল। তাদেরকে বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেটের অনেকেই চেনেন। তারাতো হেফাজতের কেউ হতে যাবেন কেন। তবে এর বাইরেও বেশ কয়েকজন কথা বলেছেন। তারাও দাবি করেছেন যে, অগ্নিসংযোগকারীরা হলো সুবিধাবাদী দুষ্কৃতিকারী।

বায়তুল মোকাররম আদর্শ পুস্তক ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মাওলানা মুজিবুর রহমান কুরআন পোড়ানের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, যাদের নূন্যতম ঈমান আছে তারা এ জঘন্য কাজ করতে পারেন না। কিছু টিভি ও মিডিয়ায় হেফাজতের ঘাড়ে এ ঘটনার দায় চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। সরকারের উচিত এ ঘটনায় একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া।

গত ২৫ বছর যাবত বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে পবিত্র কুরআনের কপি এবং এমদাদিয়া বুক হাউজের বই বিক্রি করেন মাওলানা আবদুর রশিদ ফরাজী। তিনি জানান, তার দোকানে থাকা প্রায় ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকার কুরআনসহ ইসলামী বই ভস্মীভূত হয়ে গেছে। অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে এসে তিনি প্রায় ৮-১০ হাজার টাকার বই উদ্ধার করেন। তিনি বলেন, হেফাজত কিংবা আওয়ামী লীগের কেউ এটা করেনি। এটা সুযোগসন্ধানী দুষ্কৃতিকারীদের কাজ। তিনি প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে শুনেছেন অগ্নিসংযোগকারীরা গ্যালনে ভরে পেট্রোল এনে আগুন ধরায়।

তিনি বলেন, ইসলামী বই মার্কেটে আমাদের দোকান বরাদ্দ দিলে এ সমস্যা হতো না। সেখানে এখন বই ব্যবসায়ী নয় বাইরের এমন লোকদের বরাদ্দ দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়ে তিনি সেখানে বায়তুল মোকাররমের প্রকৃত ব্যবসায়ীদের বরাদ্দ দেয়ার আহ্বান জানান। টুপি ব্যবসায়ী বেলাল হোসেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে ৩৩ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীর পক্ষ থেকে সাহায্য পাওয়ার জন্য আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, যেহেতু আমরা দেখিনি কে আগুন দিয়েছে তাই সেই আবেদনে হেফাজতকে দায়ী উল্লেখ করাটা ঠিক হয়নি।

টুপি ব্যবসায়ী রবিউল হাসান জানান, ঘটনার দিন বেলা ১২টায় পুলিশ এসে ধমকিয়ে আমাদের দেকান বন্ধ করায়। বাসায় বসে টিভিতে অগ্নিকান্ডের খবর পাই। আগুন কে দিয়েছে তা বলতে পারবো না।

এছাড়া টুপি ব্যবসায়ী আজিজুল হাকিম এবং দেলোয়ার হোসেনও জানান, দুষ্কৃতিকারীরা তাদের দোকানের মালামাল জ্বালিয়ে দিয়েছে। তবে তাদের তারা দেখেননি।
কুরআন ও বই ব্যবসায়ী ওলিউল্লাহ বলেন, হেফাজততো রাজধানীতে কোরআন পোড়ানোর জন্য আসেনি। তাদের ঘায়েল করতে এখন বিভ্রান্তি তৈরি করা হচ্ছে।

বই বিক্রেতা খলিলুর রহমান জানান, আমি দোকান বন্ধ করলেও কাছাকাছি অবস্থান করছিলাম। তাই আগুন দেখে দক্ষিণ গেটে চলে আসায় আমার বই দেকান বাঁচাতে পারি। সেই সাথে আরো কয়েকজনের দোকান বাঁচাতে সক্ষম হই। তিনিও বলেন, সুযোগসন্ধানী দুষ্কৃতিকারীরা এ জঘন্য কাজ করেছে।

No comments:

Post a Comment

ঘোষনাঃ ৫ই মে' এর যে কোন দৃশ্য আপনার মোবাইল ফোন বা ক্যামেরায় ধারন করা কোন ছবি বা ভিডিও যদি থাকে তা নিজ দ্বায়িত্বে অনলাইন এ্যাক্টিভিটিস নেটওয়ার্কের কাছে প্রেরন করুন অথবা আমাদের ইমেইল করুন-
hifazatheislam@gmail.com
আপনার পাঠানো যে কোন তথ্য করতে পারে সত্যকে প্রস্ফুটিত।


 
হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা আন্দোলন নিয়ে সরকার জনগণের সাথে প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছে। ধোকা দেয়ার চেষ্টা করছে। সরকারের মনে রাখা উচিত, ধোকাবাজি করে পার পাওয়া যাবে না
---
মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক
বাংলাদেশের নাস্তিকরা ফেরাউন নমরুদের চেয়েও জঘন্য
---
বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ, মুফাসসীরে কোরআন মাওলানা নুরুল ইসলাম ওলিপুরী