১৩ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর করা হবে

আজকে শাপলা ইসলামের মহাসমাবেশে সমাপনী ভাষণে আল্লামা শফি বলেন, আজকের জনসমুদ্র প্রমাণ করেছে এদেশ চলবে আলেম-ওলামা ও তাওহিদি জনতার কথায়, নাস্তিক-মুরতাদ ব্লগারদের কথায় নয়। জীবনবাজি রেখে এ লংমার্চ কর্মসূচিকে সফল করার জন্য অংশগ্রহণকারী সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি। তিনি সরকারের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, আমাদের ১৩ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর করা হবে। যে আন্দোলনের তোড়ে ইসলামবিরোধী সরকারের পরিণতি হবে ফেরাউন, নমরুদ, সাদ্দাদ, হামান, আবু জাহেল ও আবু লাহাবের চেয়েও ভয়াবহ। তাই এখনো সময় আছে আল্লাহর গজব নেমে আসার আগেই দাবি মেনে নিন। নিজেরাও বাঁচুন, দেশকে ও দেশের জনগণকে বাঁচান।

সরকার আমাদের দাবি-দাওয়ার প্রতি কর্ণপাত না করে দেশের কোটি কোটি মুসলমানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি লংমার্চ বানচালে সব চেষ্টাই করেছে সরকার। সরকারের সহযোগী নাস্তিক-মুরতাদ, ঘাদানিকসহ সব নাস্তিক সংগঠনসহ তথাকথিত গণজাগরণ মঞ্চের মাধ্যমে হরতাল অবরোধ ডেকে আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে বাধাগ্রস্ত করেছে।

তিনি বলেন, এতোকিছুর পরও আজকে এ জনসমুদ্র প্রমাণ করে এদেশে ইসলামবিরোধী নাস্তিক-মুরতাদদের ঠাঁই নেই। ইমানদার জনতাই এদেশ নিয়ন্ত্রণের অধিকার রাখে। বাংলাদেশের মুসলমানরা বাতিলের ভয়ঙ্কর থাবায় আক্রান্ত, সংবিধান থেকে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস মুছে দিয়ে ফিরাউনি ও নমরুদি শাসন ব্যবস্থা কায়েমের অপচেষ্টা দেশে খোদায়ী গজব অনিবার্য করে তুলেছে। বাতিলের এই আক্রমণ কিয়ামত পর্যরন্ত অব্যাহত থাকবে, কিন্তু সাময়িক সফলতার আস্ফালন দেখালেও চূড়ান্ত সফলতা মুসলমানদেরই হবে।

পরিশেষে এসব ষড়যন্ত্র থেকে দেশকে রক্ষা করতে ইমানদার মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।