
মুফতি আবদুল ওয়াহহাবের সভাপতিত্বে বিক্ষোভসমাবেশে বক্তব্য রাখেন, মাওলানা আনোয়ার হোসাইন রব্বানী, মাওলানা আহমদুল্লাহ, মাওলানা এনামুল হক, মাওলানা জয়নুল আবেদীন, মাওলানা ইকবাল খলিল, মাওলানা কুতুবুদ্দিন, মাওলানা ইউনুস, আবু রায়হান, মুহাম্মদ সগির আহমদ ও কামালুদ্দিন।
বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, বিগত ৫ মে সরকার শাপলা চত্বরে দেশের নিরীহ আলিম-ওলামা , মাদরাসাছাত্র ও নবীপ্রেমিক জনগণকে নৃশংসভাবে হত্যা করে উল্টো নির্যাতিতদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। ঢাকায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের ক্যাডার দিয়ে কুরআন পুড়িয়ে হেফাজতের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চক্রান্ত চালিয়েছে। জনগণ তাদের ভাওতাবাজীতে বিশ্বাস করেনি। এ সরকার মানবতার শত্রু“ ও ইসলামের দুশমন। নাস্তিক-মুরতাদদের দোসর। দেশি-বিদেশি গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কাছে সেদিন শাপলা চত্বরে যৌথবাহিনী ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ভয়াবহ গণহত্যার বিষয়ে কোনো সন্তোষজক জবাব দিতে ব্যর্থ হয়ে দেশের প্রখ্যাত আলিম, বিশিষ্ট মুহাদ্দিস আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরীসহ লাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। শাপলা চত্বরের গণহত্যার শত শত ভিডিওচিত্র দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গণমাধ্যমে পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে গেছে, অথচ সরকার মিথ্যা তথ্য দিয়ে জনগণকে ধোকা দিতে চাইছে।
সরকারের উদ্দেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, অবিলম্বে আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরীসহ গ্রেফতারকৃত সকল নেতা-কর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। মিথ্যা মামলার রিমান্ড বাতিল করতে হবে। নেতাকর্মীদের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা-মামলা প্রত্যাহার করে দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায়, সারা বাংলাদেশের আলিম-ওলামা ও নবীপ্রেমিক তাওহীদী জনতাকে সাথে নিয়ে হেফাজতে ইসলামে বাংলাদেশের আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফীর নেতৃত্বে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
হেফাজতে ইসলাম নেতৃবৃন্দ বলেন, শাপলা চত্বরের গণহত্যার বিষয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে জাতির কাছে ঘটনার আদ্যোাপান্ত চিত্র তুলে ধরতে হবে। অন্যথায় সারা দেশে নবীপ্রেমিক জনতা পুনরায় দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে এবং ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও বিচারের জন্য জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করা হবে।
No comments:
Post a Comment