হরতাল সমর্থকদের ঝাঁকুনিতে ভবন ধসে পড়লে হেফাজতের ঝাঁকুনিতে সরকার ধসে পড়বেঃ টঙ্গী মহাসমাবেশে বক্তারা

আজ বিকেলে বিশ্ব ইজতেমার ১নং গেট টঙ্গী-আশুলিয়া বাইপাস সড়কে হেফাজতে ইসলামের শানে রিসালাত মহাসমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়। এতে হেফাজতে ইসলামের নেতারা সরকারের মন্ত্রিপরিষদকে পাগলের পরিষদ আখ্যায়িত করে তারা বলেন, হরতাল সমর্থকদের ঝাঁকুনিতে ভবন ধসে পড়তে পারলে হেফাজতের ঝাঁকুনিতে অবশ্যই সরকার ধসে পড়বে। দেশের ১৬ কোটি মানুষের মনে ঈমানের ঝাঁকুনি জেগে উঠেছে। নাস্তিকদের পক্ষ না নিয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হেফাজতের দাবি মেনে নিন। অন্যথায় আপনাদের ক্ষমতা থেকে কীভাবে নামাতে হয়, তৌহিদি জনতা তা দেখিয়ে দেবে।

এতে আরো বলা হয়, নাস্তিকদের দাবিতে তিন দিনের মধ্যে আইন করতে পারলে আল্লাহ ও রাসুল (সা.)-এর সম্মান রক্ষার্থে সরকার কেন আইন পাস করতে পারবে না। এ সরকারের মুদ্রাদোষ হচ্ছে দাবি না মানা। আমরা বিশ্বাস করি, সরকার হেফাজতের ১৩ দফা দাবি মেনে চলমান সংসদ অধিবেশনে আইন পাস করবেন।

তৌহিদি জনতার বিরুদ্ধে সরলমনা নারীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার এবং নাস্তিকদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিয়ে সরকার দেশে গজব ডেকে আনছে। এদেশের তৌহিদি জনতা নাস্তিক-মুরতাদদের মেনে নেবে না। যারা আল্লাহ পাকের হাবিব (সা.)-এর সঙ্গে বেয়াদবি করছে, তাদের শাস্তি না দেয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। এ লক্ষ্যে বক্তারা আগামী ৫ মে’র ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানান। তারা আরো বলেন, সরকার ২৭ এপ্রিল ঢাকায় নারী সমাবেশের নামে ইসলামের বিরুদ্ধে গার্মেন্টসের নারী শ্রমিকদের ব্যবহারের নীল নকশা করেছিল। কিন্তু মহান আল্লাহর কুদরতে তাদের ওই ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। তারা নাস্তিকদের প্ররোচনায় বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য নারী শ্রমিকসহ সমাজের আপামর নারীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, তৌহিদি জনতার ঈমান, আকিদা ও নারীদের ইজ্জত, আব্রু, স্বার্থরক্ষার জন্যই হেফাজতে ইসলাম আন্দোলন করছে। অথচ ইসলামি শরিয়তের ভুল ব্যখ্যা দিয়ে নারীদেরই এ তৌহিদি কাফেলার বিরুদ্ধে মাঠে নামানোর অপচেষ্টা করছে খোদাদ্রোহী চক্র। তারা মা-বোনের ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। স্কুল, কলেজম ইউনিভার্সিটি, কর্মস্থলে নারীদের যেতে বাধা নেই। কিন্তু যারা নারীদের ভোগের পণ্য হিসেবে ব্যবহার করছে, পাইকারি হারে ধর্ষণ করছে, ইভটিজিং করছে, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন।