
এসমাবেশে মাওলানা জুনায়েদ আহমেদ বাবুনগরী বলেন, হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়। আর যদি সাংঘর্ষিক মনে হয় তবে সংবিধান পরিবর্তন করে হলেও দাবি মানতে হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফের বক্তব্যের সমালোচনা করে মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, হেফাজতে ইসলামের নেতারা লেজ গুটিয়ে চট্টগ্রামে চলে যাননি। বরং হেফাজতে ইসলাম সিংহের মতো সারাদেশে বিরাজ করছে। অবিলম্বে হেফাজতের দাবি না মানলে আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা ছেড়ে লেজ গুটিয়ে পালাতে বাধ্য করা হবে। তাছাড়া মদিনা সনদ অনুযায়ী দেশ চালাতে হলে আগে চোর মন্ত্রীদের হাত কেটে নিতে হবে। তিনি সরকারের মন্তব্য করে বলেন, আসলে মদিনা সনদ নয়, ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র’র সনদ অনুযায়ী দেশ চলছে। এছাড়াও তিনি অবিলম্বে আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মুক্তি এবং পত্রিকাটির প্রেস খুলে দেয়ার দাবি জানান। না হলে দেশের কোটি কোটি মানুষ আমার দেশ-এর প্রেস নিজ দায়িত্বে খুলতে বাধ্য হবে।
সাতক্ষীরা, যশোর, নড়াইল, ঝিনাইদহ ও মাগুরা থেকে সমাবেশে আসতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বাধা দেয়ার কথাও বলেন। একদিকে সরকার সমাবেশের অনুমতি দিচ্ছে, অন্যদিকে বাধা দিচ্ছে। এটা দ্বিমুখী নীতি। আর দ্বিমুখী নীতিই হলো মোনাফেকি।
মুফতি মুহম্মদ ওয়াক্কাস বলেন, সরকার ক্ষমতায় যাওয়ার আগে কোরআন সুন্নাহবিরোধী কোনো কাজ করা হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু ক্ষমতায় গিয়ে তা ভুলে সংবিধান থেকে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস তুলে দিয়ে ঈমান হরণের ব্যবস্থা করেছে। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে মুফতি ওয়াক্কাস বলেন, নাস্তিক ব্লগার রাজিবকে শহীদ ঘোষণা করায় আপনি ইসলামের কলঙ্ক। মাওলানা শাহ্ আহমদ শফীর এক আজানের ধ্বনিতে নাস্তিকদের সব আশা শেষ হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রীকে তিনি আরও বলেন, আপনার সময় শেষ হয়ে আসছে। ক্ষমতায় থাকতে হলে ১৩ দফা মেনে থাকতে হবে।
মুফতি মাহফুজুল হক বলেন, সরকারের জন্য শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ এখন গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে। অবিলম্বে গণজাগরণ মঞ্চের পক্ষ ত্যাগ না করলে সরকার পালানোর পথ খুঁজে পাবে না। কুষ্টিয়ায় হেফাজতের সমাবেশে বাধা দেয়ার অভিযোগ এনে তিনি বলেন, ‘নাস্তিক ইনুকে’ কুষ্টিয়ায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে।

No comments:
Post a Comment