আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, মাওলানা মামুনুল হকসহ সব নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার নিশর্ত মুক্তি দিন

হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, ঢাকা মহানগরী নেতা মাওলানা মামুনুল হকসহ সব নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেফতারদের আশু মুক্তদিন। এছাড়া বিভন্ন পত্রপত্রিকায় প্রচারিত মিথ্যা অপপ্রচার বন্ধ করুন। সরকার ঘেঁষা কয়েকটি চ্যানেল ও পত্র-পত্রিকায় মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরীর বরাত দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের যেসব তথ্য, বক্তৃতা-বিবৃতি পরিবেশিত হচ্ছে, তা ডাহা মিথ্যা, বানোয়াট ও কল্পনাপ্রসূত। কারণ, তদন্তাধীন কোনো বিষয় নিয়ে প্রকাশ্যে মিডিয়ার সামনে মুখ খোলার অধিকার সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের কোনো কর্মকর্তা রাখেন না। তাছাড়া আমরা স্থীরভাবে বিশ্বাস করি, বাবুনগরীর উদ্ধৃতি দিয়ে যেসব কল্পকাহিনী প্রকাশ করা হচ্ছে, তা শুধুই জনগণকে বিভ্রান্ত করার সরকারি অপকৌশল। আল্লামা বাবুনগরীর এ ধরনের তথ্য দেয়ার প্রশ্নই আসে না। এছাড়া বাবুনগরীও জানিয়েছেন, এসব বিষয়ে তিনি কোনো কথা বলেননি।

বর্তমান সরকারের মিথ্যা মামলা, হয়রানি, জেল-জুলুম কোনো কিছুই নবীপ্রেমিক ঈমানদার জনতাকে ১৩ দফার আন্দোলন থেকে বিরত রাখতে পারবে না। ১৩ দফার আন্দোলন ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও চলবে। তারা বলেন, সরকার চারজন নাস্তিক ব্লগারকে গ্রেফতারের নাটক সাজিয়ে এতদিন তাদের সরকারি পয়সায় জামাই আদরে আপ্যায়ন করে অবশেষে তাদের থেকে দুইজনকে সম্মানে জামিন দিয়ে বাংলাদেশের মুসলমানদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। এই প্রতারণার জবাব ঈমানি চেতনায় উজ্জীবিত দেশপ্রেমিক জনগণ একদিন অবশ্যই দেবে। তারা বলেন, রাতের আঁধারে গণহত্যা চালিয়ে হাজার হাজার মুসলমানকে শহীদ করে জালিম সরকারের রক্তপিপাসা মেটেনি, এখনও বিভিন্ন হাসপাতালে সেদিনের ভয়াবহ হামলায় আহত চিকিত্সাধীন নিরুপায় অসহায় রোগীদের ওপর সরকারের হিংস্র ক্যাডাররা হামলা করছে। হাসপাতালে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। সন্ত্রন্ত অনেক গুরুতর রোগী সরকারদলীয় ক্যাডার ও পুলিশি হয়রানির আতঙ্কে চিকিত্সা না নিয়েই হাসপাতাল ছেড়ে আত্মগোপনে চলে গিয়েছেন। চিকিত্সার অভাবে তাদের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে পচন ধরতে শুরু করেছে। অনেকে চোখ হারিয়ে অন্ধ হয়ে যাচ্ছেন। অনেকে শরীরে বুলেটের স্পিল্গন্টার নিয়ে স্থায়ী পঙ্গুত্ব বরণ করে নিচ্ছেন, যা সভ্য কোনো দেশে কল্পনাও করা দুষ্কর।

জরুরী সম্মেলন-
দারুল উলূম মাদরাসা হলরুম, কাকরাইল