আমরা শান্তি প্রিয় মানুষ, আমাদের আন্দোলন অহিংস, আমরা কোন ভাংচুর করতে ঢাকা যাইনি আমরা গিয়েছিলাম আমাদের ঈমানী দাবি আদায়ের লক্ষে। বর্তমান সরকার জালিম সরকার। এই সরকার ইসলামবিদ্বেষী। ৫ মে কোরআনকে হেফাজতে রাখার জন্যই হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ তৌহিদি জনতা শাপলা চত্বরে সমাবেত হয়েছিল। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই পল্টনে ও বায়তুল মোকাররমের পাশের দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয়। তাদের আগুনেই কোরআন শরিফ পুড়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আগুন দিয়ে আমাদের (হাফাজতের) বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। যুবলীগ, ছাত্রলীগের শত শত ক্যাডার রাজধানীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ব্যাংক ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আগুন ধরিয়ে দেয়। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ব্যাংক লুটের চেষ্টা চালায়। আমরা হেফাজতের নেতাকর্মীরা শান্তিপ্রিয় মানুষ। তাদের ওপর প্রথমে পুলিশ ও যুবলীগ-ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। সরকার পূর্বপরিকল্পিতভাবে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে রাতের অন্ধকারে নির্বিচারে গণহত্যা চালায়। সমাবেশের সময় সরকার মতিঝিল এলাকায় বিদ্যুত্ বন্ধ করে দেয়। ১৩ দফা দাবিতে শাপলা চত্বরে যখন সমাবেশ চলছিল, তখন অনেকে ওয়াজ শুনছিল, অনেকে আল্লার জিকির করছিল, আবার অনেকে মঞ্চের পাশে ঘুমিয়ে ছিল। যৌথবাহিনী ঘুমন্ত মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে পাখির মতো এই ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের হত্যা করে। যখন রাতের অন্ধকারে নির্বিচারে গুলি চালাতে থাকে, তখন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা প্রাণে বাঁচার জন্য দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করে। সরকার হেফাজতের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। এই সরকারকে আল্লাহ বেশি দিন বাঁচিয়ে রাখবে না। আল্লাহর ইশারায় এই জালিম ও নাস্তিক সরকারের পতন হবে। ১৩ দফা দাবি নিয়ে ইসলাম ধর্মকে সসম্মানে বাঁচিয়ে রাখার জন্য যারা মতিঝিলের শাপলা চত্বরে এসে এই জালিম সরকারের লেলিয়ে দেয়া বাহিনীর হাতে শহীদ হয়েছেন, তাদের রক্ত বৃথা যাবে না। এই সরকার মানবতাবিরোধী কাজ করছে। তাদের একদিন বিচার হবে। তাদের রক্তের বদলা এদেশের জনগণ একদিন নেবেই ইনশাআল্লাহ।
সত্য ঘটনাকে আড়াল করে হেফাজতে ইসলামকে দেশের মানুষের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য সরকার-সমর্থিত মিডিয়া একের পর এক মিথ্যাচার করছে। তাদের একদিন আল্লাহর কাছে জবাব দিতে হবে। নিজেদের স্বার্থের জন্য আল্লাহ ও রসুলের বিরুদ্ধে যারা কথা বলছে, তাদের পক্ষ নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এদেশ নাস্তিকদের হাতে চলে গেছে। এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের কথা তাদের ভালো লাগছে না। এদেশে যারা মেম্বার হওয়ার যোগ্যতা রাখে না, তারা মন্ত্রী হয়ে ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলছে। যারা নাস্তিক, এদেশের মানুষ তাদের চিহ্নিত করেছে। তারা যতই মিডিয়ার সামনে কথা বলুক না কেন জনগণ তা শুনছে না। মিডিয়ার প্রতি মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। এদেশের মিডিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মিডিয়া যেন আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখে দায়িত্ব পালন করে। হেফাজতে ইসলাম সাংবাদিকদের সব সময় সম্মান করে থাকে। শাপলা চত্বরে নির্বিচারে গুলির সময় সাংবাদিকদের যেতে দেয়া হয়নি। একটি গণতান্ত্রিক দেশে এ রকম ঘটনা হতে পারে না। এই দেশটা এখন সম্পূর্ণ বাকশালী কায়দায় পরিচালিত হচ্ছে। সরকারপ্রধান সব সময় মিথ্যাচার করছে। সে মুখে বলে এক, অন্তরে এক। মন্ত্রিপরিষদে ৫ পাগল ১৩ নাস্তিক রয়েছে। এদের পরমর্শে সরকার চলে।
মাওলানা আহমাদুল্লাহ আশরাফ সাহেব
নায়েবে আমির
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
ঘোষনাঃ ৫ই মে' এর যে কোন দৃশ্য আপনার মোবাইল ফোন বা ক্যামেরায় ধারন করা কোন ছবি বা ভিডিও যদি থাকে তা নিজ দ্বায়িত্বে অনলাইন এ্যাক্টিভিটিস নেটওয়ার্কের কাছে প্রেরন করুন অথবা আমাদের ইমেইল করুন-
hifazatheislam@gmail.com
আপনার পাঠানো যে কোন তথ্য করতে পারে সত্যকে প্রস্ফুটিত।
hifazatheislam@gmail.com
আপনার পাঠানো যে কোন তথ্য করতে পারে সত্যকে প্রস্ফুটিত।
No comments:
Post a Comment