বিভন্ন মিডিয়ায় হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর কথিত জবানবন্দিকে উদ্ধৃত করে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা একে বারেই অবস্তব। আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর কাছ থেকে রিমান্ডে জোর করেই এমন বিভ্রান্তিমূলক স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে। ৫ই মে বা তার আগে পরে হেফাজতে ইসলামের কোনো নেতাকর্মীই আমার নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিলেন না এবং আমাকে অবহিত করা ছাড়া কোনো কর্মসূচি নির্ধারণ ও বাস্তবায়নের ক্ষমতাও কাউকে দেয়া হয়নি। হেফাজতে ইসলাম কোনো রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়ন বা কাউকে ক্ষমতা থেকে নামানো বা বসানোর জন্য গত ৫ মে ঢাকা অবরোধ করেনি। হেফাজতে ইসলাম ঈমান-আকিদা ভিত্তিক সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক একটি সংগঠন। শান্তিপূর্ণ উপায়ে ১৩ দফা দাবি আদায়ই চলমান আন্দোলনে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। সরকার পতনের আশা করার অভিযোগ মোটেও সঠিক নয়। স্বীয় ঈমান-আকিদার তাগিদেই দেশের আলেম সমাজ ও তৌহিদি জনতা স্ব-স্ব উদ্যোগেই হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচিতে শরিক হয়ে থাকেন। সুতরাং ১৮ দলীয় জোট বা অন্য কোনো দল থেকে অর্থ জোগান নেয়ার দাবিও ভিত্তিহীন।
৫ মে ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি বাস্তবায়নের আগে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির চূড়ান্ত বৈঠকে ঢাকা অবরোধ-পরবর্তী মহাসমাবেশ একই দিন নির্ধারিত সময়ে শেষ করার বিষয়টিও ঠিক করা ছিল। কিন্তু ৫ মে দুপুর ২টার পর থেকে হেফাজতকর্মীরা রাজধানীতে সন্ত্রাসী হামলা ও হতাহতের শিকার হওয়ার পর যে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, তাতে সেদিন আমার পক্ষে মহাসমাবেশে শরিক হওয়ায় চরম নিরাপত্তাহীন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমার পক্ষ থেকে বারবারই প্রশাসনকে জানানো হয়েছিল যে, রাতের বেলায় চরম নিরাপত্তাহীন এই পরিস্থিতিতে এতগুলো মানুষকে ছেড়ে দেয়া যায় না। ভোরেই সমাবেশস্থলে গিয়ে মোনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘোষণা করা হবে। সুতরাং পরদিন হেফাজতের অবস্থানকারী নেতাকর্মীদর বিএনপি নেতা ও ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার খাবার সরবরাহ করার কথা ছিল বলে যা বলা হচ্ছে, তা একেবারেই অমূলক। তাছাড়া ৫ মে ঢাকায় ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের সঙ্গে কারা জড়িত ছিল, তার সচিত্র প্রতিবেদন বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে একাধিকবার প্রকাশিত হয়েছে। কারা এসবের সঙ্গে জড়িত তা জাতি ভালোভাবেই অবগত আছেন।
দেশের অনেক মাদরাসা এখনও বন্ধ রয়েছে, অনেক মসজিদের ইমাম-খতিব হামলা ও গ্রেফতারের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ওলামায়ে কেরাম, মাদরাসার ছাত্র ও তৌহিদি জনতাকে তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাতে দিতে হবে। উলামায়ে কেরামের প্রতি যে কোনো ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন বন্ধ করতে হবে। আমি আশা করব দেশব্যাপী উলামায়ে কেরাম ও তৌহিদি জনতার বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে সরকার দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা ও স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনবে।
আল্লামা শাহ আহমদ শফী
আমীর
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
ঘোষনাঃ ৫ই মে' এর যে কোন দৃশ্য আপনার মোবাইল ফোন বা ক্যামেরায় ধারন করা কোন ছবি বা ভিডিও যদি থাকে তা নিজ দ্বায়িত্বে অনলাইন এ্যাক্টিভিটিস নেটওয়ার্কের কাছে প্রেরন করুন অথবা আমাদের ইমেইল করুন-
hifazatheislam@gmail.com
আপনার পাঠানো যে কোন তথ্য করতে পারে সত্যকে প্রস্ফুটিত।
hifazatheislam@gmail.com
আপনার পাঠানো যে কোন তথ্য করতে পারে সত্যকে প্রস্ফুটিত।
No comments:
Post a Comment