
৫ মে ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি বাস্তবায়নের আগে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির চূড়ান্ত বৈঠকে ঢাকা অবরোধ-পরবর্তী মহাসমাবেশ একই দিন নির্ধারিত সময়ে শেষ করার বিষয়টিও ঠিক করা ছিল। কিন্তু ৫ মে দুপুর ২টার পর থেকে হেফাজতকর্মীরা রাজধানীতে সন্ত্রাসী হামলা ও হতাহতের শিকার হওয়ার পর যে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, তাতে সেদিন আমার পক্ষে মহাসমাবেশে শরিক হওয়ায় চরম নিরাপত্তাহীন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমার পক্ষ থেকে বারবারই প্রশাসনকে জানানো হয়েছিল যে, রাতের বেলায় চরম নিরাপত্তাহীন এই পরিস্থিতিতে এতগুলো মানুষকে ছেড়ে দেয়া যায় না। ভোরেই সমাবেশস্থলে গিয়ে মোনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘোষণা করা হবে। সুতরাং পরদিন হেফাজতের অবস্থানকারী নেতাকর্মীদর বিএনপি নেতা ও ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার খাবার সরবরাহ করার কথা ছিল বলে যা বলা হচ্ছে, তা একেবারেই অমূলক। তাছাড়া ৫ মে ঢাকায় ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের সঙ্গে কারা জড়িত ছিল, তার সচিত্র প্রতিবেদন বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে একাধিকবার প্রকাশিত হয়েছে। কারা এসবের সঙ্গে জড়িত তা জাতি ভালোভাবেই অবগত আছেন।
দেশের অনেক মাদরাসা এখনও বন্ধ রয়েছে, অনেক মসজিদের ইমাম-খতিব হামলা ও গ্রেফতারের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ওলামায়ে কেরাম, মাদরাসার ছাত্র ও তৌহিদি জনতাকে তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাতে দিতে হবে। উলামায়ে কেরামের প্রতি যে কোনো ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন বন্ধ করতে হবে। আমি আশা করব দেশব্যাপী উলামায়ে কেরাম ও তৌহিদি জনতার বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে সরকার দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা ও স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনবে।
আল্লামা শাহ আহমদ শফী
আমীর
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ
No comments:
Post a Comment